ছোট-খাটো কারণেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। একটি সম্পর্ক তৈরি ‘হতে অনেকটা সময় লাগলেও ভেঙে যেতে এক মুহূর্তই যথে’ষ্ট। একে অ’পরের একটু প্রশংসা, জীবনের সুন্দর মুহূর্তগু’লো একসঙ্গে উদযাপন করুন- এই সামান্য প্রয়াসটুকুই অনেক সময় বড় ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে দিতে পারে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পর্ক মানেই ঘনিষ্ঠতা। তবে কেবল শারীরিক ঘনিষ্ঠতার জোরে সম্পর্ক টেকানো মুশকিল। মনের মিল, একে ওপরের সাথে ভালো বোঝাপড়া সম্পর্কের বুনিয়াদ মজবুত করে। ঝগড়া বা সং’ঘা’তকে কখনই ভ’য় পাবেন না। কোনো কিছু নিষ্পত্তির জন্য ঝগড়া ভীষণ জরুরি। অনেক সময়ই দম্পতির মধ্যকার ভিন্নতা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
এই একজনই আমা’র ‘সবকিছু’ – এমন চিন্তাধা’রার বদল আনুন। নিজের সঙ্গীর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়। আপনার সব সমস্যার সমাধান আপনার সঙ্গীই করে দেবে, এমনটা ভাবা ভুল।
মনের কথা চেপে রাখবেন না। জীবনের যে কোনো সমস্যা নিয়ে একে অ’পরের সাথে কথা বলুন। চুপ করে থাকা’টা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। সঙ্গীর যা পছন্দ তা আপনার পছন্দের নাও ‘হতে পারে। নিজের পছন্দের বি’ষয়ে সঙ্গীর সাথে কথা বলুন। দিনের শেষে একসাথে কিছুক্ষণ দু’জনে মিলে হেঁটে আসুন। নিজেকে উন্মুক্ত করুন। সঙ্গী কোনো ভুল করলে সেটা ভুলতে শি খু’ন। বেশিদিন মনে ধরে রাখবেন না।
সঙ্গী যদি আপনার ওপর রেগে থাকেন, তবে তার কারণ বোঝার চে’ষ্টা করুন। সব সময় নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতেই হবে এমনটা নয়। সঙ্গীর সমালোচনা করবেন না। অন্য কারও সাথে সঙ্গীর তুলনা করে নিজেদের সম্পর্কে তিক্ততা আনবেন না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।